পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাংলাদেশের একটি 1,320 মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লার স্বল্পতার কারণে 3 জুন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্ল্যান্টটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং এটি বন্ধ হয়ে গেলে সারা দেশে মারাত্মক লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
![]() |
বাংলাদেশে বন্ধ হচ্ছে 'পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা' |
পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের বন্ধ হওয়াটা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে জর্জরিত একাধিক সমস্যার মধ্যে সর্বশেষ। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেল সহ জ্বালানীর ঘাটতির কারণে দেশটি বেশ কয়েকটি ব্ল্যাকআউট এবং লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারকে ব্যাহত করেছে এবং শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট, যার কারণে জ্বালানি আমদানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে সহ বেশ কয়েকটি কারণের জন্য সরকার জ্বালানি ঘাটতির জন্য দায়ী করেছে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। দেশ ইতিমধ্যেই একটি তীব্র জ্বালানি সংকটের সম্মুখীন, এবং পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আরও বেশি ব্ল্যাকআউট এবং লোডশেডিং হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার বলেছে যে তারা জ্বালানি ঘাটতি মোকাবেলায় কাজ করছে, তবে সমস্যাটি সমাধান করতে কতক্ষণ লাগবে তা স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে, বাংলাদেশিরা আরও ব্ল্যাকআউট এবং লোডশেডিংয়ের জন্য উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশে পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হওয়ার কিছু প্রভাব রয়েছে :
- লোডশেডিং বৃদ্ধি : পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হওয়ার ফলে সারা বাংলাদেশে লোডশেডিং বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর অর্থ এই হতে পারে যে জনগণকে দিনে কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হবে।
- অর্থনৈতিক ব্যাঘাত : বর্ধিত লোডশেডিং ব্যবসা এবং শিল্পকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে চাকরি হারাতে পারে এবং অর্থনৈতিক মন্দা হতে পারে।
- জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ : বর্ধিত লোডশেডিং জনস্বাস্থ্যের উদ্বেগের কারণ হতে পারে, কারণ লোকেরা জেনারেটর বা মোমবাতি ব্যবহার করতে বাধ্য হতে পারে, যা ক্ষতিকারক নির্গমন তৈরি করতে পারে।
পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের জন্য একটি বড় ধাক্কা। জ্বালানি ঘাটতি মোকাবেলা এবং আরও ব্ল্যাকআউট এবং লোডশেডিং প্রতিরোধে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।